দেশজুড়ে বিক্ষোভে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। ভারতের এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা দুই দিনের সহিংস বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা।
নেপালে টানা দুই দিনের ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংস পরিস্থিতির মুখে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাস্তায় নামা হাজারো বিক্ষোভকারী সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজধানী কাঠমান্ডুতে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেয়, তবুও অলি পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পুডেল ও প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বাহিনী কাজ শুরু করে, তবে ইতোমধ্যে সরকারি স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস ধরেই নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি ও শাসন ব্যবস্থায় অনিয়মের অভিযোগে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিল। তবে গত দুই দিনে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে এবং তা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে গড়ায়। প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, "দেশের স্বার্থে ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি পদত্যাগ করছি।" তবে বিক্ষোভকারীরা নতুন নেতৃত্ব ও ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
নেপালে চলমান এই রাজনৈতিক সংকট দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী অলির পদত্যাগ সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি। এখন নজর সকলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দিকে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: