২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয় পরীক্ষা — ফলাফলে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য সব বিভাগেই পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫১.৮৬ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৫.৩৯ শতাংশ, অর্থাৎ এবার কমেছে ৩৩.৫৩ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এটি ২০০৫ সালের পর সিলেট বোর্ডের সর্বনিম্ন পাসের হার, অর্থাৎ গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম সাফল্য।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৯ হাজার ১৭২ জন, তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৭১ জন।
বিভাগভিত্তিক ফলাফল:
বিজ্ঞান বিভাগ: ১২,৮৯৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৯,৭৯২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১,৩৭৯ জন।
মানবিক বিভাগ: ৪৭,১৪৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২১,৪৯৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫৩ জন।
বাণিজ্য বিভাগ: ৯,২৭২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪,৫৮২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৭০ জন।
এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৪টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ ফেল করেছে, যা বোর্ডের সামগ্রিক ফলাফলকে আরও হতাশাজনক করেছে।
দীর্ঘ ৫ বছর পর এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, সিলেবাসের জটিলতা ও সময়ের সীমাবদ্ধতা অনেক শিক্ষার্থীকে দুর্বল করে তোলে। এর ফলে সামগ্রিক ফলাফল আগের বছরের তুলনায় নিম্নমুখী হয়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এই ফলাফল শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি পূরণে এখন প্রয়োজন ফলাফলভিত্তিক বিশ্লেষণ ও পুনর্বিন্যাস করা শিক্ষা কৌশল।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: