ঠাকুরগাঁওয়ে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গর্ভের সন্তান হারানো এক প্রসূতির চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ জুলাই) সকালে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সোহাগী আক্তার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তার এর পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বাদ দিয়ে বাইরের একটি ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানোয় ওই চিকিৎসক অমানবিক আচরণ করেন।
প্রসূতির স্বামী জাহাঙ্গীর জানান, শুক্রবার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু রাতেই গর্ভের সন্তান মারা যায়। ডাক্তার পর্যবেক্ষণের পর কয়েকটি পরীক্ষা দেন। সেসময় হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকায় তিনি ‘নিউক্লিয়ার ল্যাব’ থেকে টেস্ট করান।
জাহাঙ্গীরের ভাষায়,
“শনিবার সকালে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মোছা. আইরিস রহমান রাউন্ডে এসে রিপোর্ট দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন— ‘কিয়ামত হলেও এই রোগীর চিকিৎসা হবে না।’ এরপর আমার স্ত্রীর হাতে লাগানো রক্তের লাইন ও স্যালাইনের ক্যানুলা খুলে দেন। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কিছু শুনেননি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইরের রিপোর্টের কারণে ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করে দেন, যা তাদের কাছে অমানবিক মনে হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মোছা. আইরিস রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাসপাতালের আরএমও ডা. মোহাম্মদ ফুয়াদ বলেন,
“এখনও কোনো স্বজন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রিলাক্স মিডিয়া/রকিবুল ইসলাম,
Comments: