মুনিয়া হত্যার রহস্য উন্মোচিত: কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও অপরাধের তথ্য ফাঁস। আফ্রিদির প্রতারণা, শারীরিক নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেলের বিস্তারিত তথ্য সামনে আসার পর মুনিয়ার হত্যার প্রকৃত ঘটনা নতুন মাত্রায় আলোচিত হচ্ছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার প্রতারণা, নারী নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেল সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ‘ক্রাইম এডিশন’ ভিডিও প্রতিবেদনে আফ্রিদির কুকীর্তি, ব্লগার ও ইউটিউবারদের রাজনৈতিক কাজে জোরপূর্বক ব্যবহার এবং তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি নিয়ে মুনিয়ার হত্যা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপ অনুযায়ী, মুনিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির সম্পর্ক কেবল ব্যক্তিগত সীমিত ছিল না; সম্পর্কের অবনতি ঘটলে মুনিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আফ্রিদির পরিবারের ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং ডিসি ডিবি হারুনের সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমে তার নানা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
ফোনালাপের মাধ্যমে মুনিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠতা ও ঘন ঘন যাতায়াতের তথ্য মেলে। অভিযুক্ত আফ্রিদি নারী শিকারদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। জুলাই আন্দোলনের সময় আফ্রিদি দেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের হুমকি দিয়ে সরকারের পক্ষে কাজ করানোর চেষ্টা চালান। আফ্রিদির বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে: যাত্রাবাড়ী থানায় আন্দোলনকারীর হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এবং বাড্ডা থানায় অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ।
মুনিয়ার হত্যার প্রকৃত রহস্য এখন তৌহিদ আফ্রিদির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্কের আলোকে নতুন দিক পেয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্তে তৎপর।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
Comments: