উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬৫ জন। যান্ত্রিক ত্রুটিতে প্রশিক্ষণ বিমানটি ভবনে বিধ্বস্ত, আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক মানুষ।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ১৬৫ জন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে আহত ও নিহতদের পাঠানো হয়েছে।
বিমানটি ছিল চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান FT-7 BGI, যা প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই। মাত্র ১২ মিনিটের ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আগুন নেভাতে এবং হতাহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সহায়তা করেন।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে গেলে আতঙ্কে দৌঁড়াতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পুড়ে যায় ভবনের একটি বড় অংশ। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে দগ্ধ শিশুদের কান্না, স্বজনদের আহাজারি ও মৃত্যুভয়। শিক্ষার্থীদের মা-বাবারা ছুটে যান স্কুলে সন্তানদের খোঁজে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গোটা জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট না হলেও, মানবিক বিপর্যয়টি নিঃসন্দেহে দেশের ইতিহাসে একটি ভয়াবহ দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: