সিলেটের তাপমাত্রা আজ ভয়াবহ উচ্চতায় পৌঁছেছে। দাবদাহে শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে, যেন গোটা নগরী এক অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে দিনমজুর ও রিকশাচালকরা জীবন-জীবিকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি হলেও অনুভূত হচ্ছে প্রায় ৪৮ ডিগ্রি।
সিলেট শহরে আজ তীব্র গরমে জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুপুরের সূর্য যেন সরাসরি মাথার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, আর পিচঢালা রাস্তায় হাঁটাচলা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলো নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে, প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জিন্দাবাজার এলাকার রিকশাচালকরা বলেন, “আজ সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ। এত গরমে রিকশা চালানো প্রায় অসম্ভব। শরীর ফেটে যাচ্ছে, আবার আয়ও আগের মতো নেই। যদি বৃষ্টি হতো, কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত।” অন্যদিকে, দিনমজুররা গরম আর রোদে পুড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল এ মানুষগুলো বাধ্য হয়ে রোদ-দাবদাহে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ রুদ্র তালুকদার জানান, “গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তবে ‘ফিলস লাইক’ তাপমাত্রা প্রায় ৪৮ ডিগ্রির মতো অনুভূত হচ্ছে।” শহরের ভেতরে যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও, দিনমজুর আর রিকশাচালকেরাই সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।
দাবদাহে ক্লান্ত সিলেটবাসী এখন বৃষ্টির অপেক্ষায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপপ্রবাহ কিছুটা সময় অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে নিম্নআয়ের মানুষদের জীবনে দুঃসহ সংগ্রাম চলছেই, যা নগরীর প্রতিটি ফাঁকা রাস্তায় স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: