ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে ভারতীয় কর্মীরা ওয়ার্ক ভিসায় তিন বছর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে কাজ করতে পারবেন জাতীয় বীমা ছাড়াই। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই), যুক্তরাজ্যের বাকিংহামশায়ারের চেকার্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এই ঐতিহাসিক চুক্তি, যা ডিজিটাল, প্রযুক্তি এবং আর্থিক পরিষেবা খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
নতুন DCC (Double Contribution Convention) চুক্তির আওতায় ভারতীয় নিয়োগকর্তার মাধ্যমে নিযুক্ত কর্মীরা যুক্তরাজ্যে তিন বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন জাতীয় বীমা প্রদান না করেই। একইসঙ্গে তারা ভারতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় অর্থ প্রদান চালিয়ে যেতে পারবেন। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে যাওয়া কর্মীদের ক্ষেত্রেও।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চুক্তিকে “পরিষেবা খাতে নতুন শক্তির সঞ্চার” হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন,
“যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ভারতের দক্ষ প্রতিভা থেকে উপকৃত হবে।”
চুক্তির আওতায় দক্ষ কর্মীদের মুভমেন্ট আরও সহজ হবে এবং কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে—বিশেষ করে প্রযুক্তি ও আর্থিক খাতে।
চুক্তিটি এমন সময় স্বাক্ষরিত হলো যখন যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক চলছে।
বিরোধীদল এই চুক্তির সমালোচনা করে বলছে, এটি ব্রিটিশ কর্মীদের জন্য প্রতিযোগিতার চাপ বাড়াবে।
তবে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্য সচিব জোনাথন রেনল্ডস দাবি করেন,
“এই চুক্তি ব্রিটিশ কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং ব্যবসার খরচ কিছুটা বাড়লেও ভারতীয় কর্মীদের ক্ষেত্রে করের পরিমাণ একই থাকবে।”
এই ধরণের চুক্তি যুক্তরাজ্যের চিলি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আইসল্যান্ডের সাথেও রয়েছে।
চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস বলেছেন,
“দ্বিগুণ করের সমস্যা সমাধানে এই চুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
ভারত-ব্রিটেন এই নতুন চুক্তি দু’দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষ কর্মীদের মুভমেন্ট, ব্যবসা পরিচালনার খরচ হ্রাস ও আস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি অভিবাসন কাঠামোয় এক নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: