যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য স্যার কেয়ার স্টারমারের পরিকল্পনার আওতায় সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ডিজিটাল আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন আইডি কার্ড সিস্টেমে চাকরি শুরু বা সম্পত্তি ভাড়া নিতে গেলে ডিজিটাল আইডি উপস্থাপন বাধ্যতামূলক হবে, যা কেন্দ্রীয় ডাটাবেসের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারের প্রথম দিকে কৃষ্ণাঙ্গ অর্থনীতিতে কাজ করা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি “ব্রিট কার্ড”-এর প্রতি নীতিগত সমর্থন জানানোর আশা করা হচ্ছে। ডিজিটাল আইডি কার্ড নতুন নিয়মে চাকরি বা সম্পত্তি ভাড়া নিতে চাইলে বাধ্যতামূলক হবে। এটি পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে কাজ করার অধিকারী ব্যক্তিদের কেন্দ্রীয় ডাটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা হবে। বর্তমানে শ্রমিকদের বিভিন্ন শারীরিক আইডি নথি দেখাতে হয়, কিন্তু জাল নথি ও অসৎ নিয়োগকর্তাদের কারণে সঠিক যাচাই করা কঠিন।
২০০৯ সালে প্রাক্তন লেবার সরকার প্রথমবার আইডি কার্ড চালু করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন জোট এই প্রকল্প বাতিল করে “নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষয়” হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী এবং আশ্রয় হোটেলের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ ডিজিটাল আইডি কার্ডের সমর্থক। তিনি সরকারের লক্ষ্যকে “বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের জন্য পছন্দের গন্তব্য” রূপান্তর করা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার পূর্বে আইডি কার্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এবং ই-ভিসার সম্প্রসারণের উপর জোর দিয়েছিলেন, তবে নতুন নীতি অনুযায়ী ডিজিটাল আইডি কার্যকর করা হবে।
যুক্তরাজ্যে ডিজিটাল আইডি কার্ড চালু হওয়ায় অবৈধ অভিবাসন রোধে আরও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে। কেন্দ্রিয় ডাটাবেসের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় যাচাই ও নিয়মিত নজরদারির ফলে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন সহজ হবে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনগত স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: