যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ সতর্ক করেছেন—যেসব দেশ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের ভিসা স্থগিত হতে পারে। ফাইভ আইজ জোটের বৈঠকে মাহমুদ বলেন, অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় কূটনৈতিক সহযোগিতা না করা দেশগুলোকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফাইভ আইজ জোটের বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ব্রিটেনের নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষিত করা ও ছোট নৌকায় অভিবাসন ঠেকানো এখন সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার। এ সময় তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন যে—যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের ভিসা স্থগিতের মতো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। শনিবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পালনের দিনে, রেকর্ড সংখ্যক ১,০৯৭ জন অভিবাসী ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়। এ নিয়ে চলতি বছরে নৌপথে আগত অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৭% বেশি। মাহমুদ এই পরিস্থিতিকে “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য” বলে আখ্যায়িত করেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমের সঙ্গেও আলোচনা করেন মাহমুদ। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় অভিবাসনবিষয়ক কঠোর নীতিমালায় নোয়েম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়াও, অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন দমন ও মাদকবিরোধী কার্যক্রম ফাইভ আইজ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী গ্যারি আনন্দসাঙ্গারী, অস্ট্রেলিয়ার টনি বার্ক এবং নিউজিল্যান্ডের জুডিথ কলিন্স। লেবার সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলা করা—এই বার্তা দেওয়ার জন্যই মাহমুদকে স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্বরাষ্ট্রসচিব শাবানা মাহমুদের কড়া অবস্থান যুক্তরাজ্যের অভিবাসন সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভিসা নীতিতে পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি কেবল কূটনৈতিক সম্পর্কেই নয়, বৈশ্বিক অভিবাসন নীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: