আওয়ামী লীগ নেতার পাশে বসে সভায় অংশ নেওয়ায় বিএনপির এক নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দলটির নেতাকর্মীদের একাংশ। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে এই ঘটনার প্রতিবাদে নাটোরের লালপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নাটোর-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সদস্য ইয়াসির আরশাদ রাজনের সমর্থকরা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোপালপুর বাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি গোপালপুর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি গোপালপুর ডিগ্রি কলেজে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল। সভায় তাঁর পাশে বসেছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বাবুল আকতার। ঘটনাটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি শামসুন্নাহার পারুল বলেন, লালপুরে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। একজন বিএনপি নেত্রী তাদের পাশে বসিয়ে এ এলাকার রাজনীতি কলঙ্কিত করেছেন। কেন্দ্রীয় নারী নেতৃত্বের নামে যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রায়হান কবির সুইট বলেন, আমরা যারা রাজপথে মার খেয়েছি, আন্দোলন করেছি, তাদের জন্য এটা খুবই অপমানজনক। নেতা হতে হলে ত্যাগ দরকার, আপস নয়। যারা আমাদের উপর বছর বছর নির্যাতন চালিয়েছে, আজ তাদের পাশে বসানো হচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল আলম লুলু, গোপালপুর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম আলী, দুয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গোপালপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা ভুবন প্রমূখ।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফারজানা শারমিন পুতুলকে একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এ বিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।
রিলাক্স মিডিয়া/লালপুর
Comments: