বৃদ্ধিমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্যের খাদ্য বাজারও এই সংকটে ব্যতিক্রম নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির ফলে ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোর বার্ষিক খাদ্য ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে।
২০২৪ সালে খাদ্য ও পানীয়ের পণ্যে যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোর বার্ষিক গড় ব্যয় ২৭৫ পাউন্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে। গবেষণা সংস্থা নিউমারেটরের ওয়ার্ল্ডপ্যানেলের তথ্যমতে, গত মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম বছরে ৫.২% হারে বেড়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি ক্রেতাদের কম দামি ব্র্যান্ড বা নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডপ্যানেলের খুচরা ও ভোক্তা বিশ্লেষক ফ্রেজার ম্যাককেভিট জানান, দাম বৃদ্ধি যেন “রোলারকোস্টার”-এর মতো উঠানামা করছে। জ্বালানি ও পণ্যের খরচ বৃদ্ধির ফলেই এই সংকট।
বিগত চার সপ্তাহে চকোলেট, মাখন, স্প্রেড ও তাজা মাংসের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অপরদিকে, কুকুরের খাবার, মিষ্টান্ন ও লন্ড্রির খরচ কিছুটা কমেছে। ওয়ার্ল্ডপ্যানেল জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিবার এখন “সংকটের” মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—তারা আর ব্যয় সংকোচন করতে পারছে না।
গবেষণা আরও বলছে, সাশ্রয় করতে গিয়ে পরিবারগুলো সাধারণ ও স্বল্প উপকরণযুক্ত খাবার তৈরি করছে। প্রতি ১০টি খাবারের প্লেটের মধ্যে সাতটিতে ছয়টিরও কম উপকরণ থাকে।
খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি শুধু জীবনযাত্রা নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখছে। পরিবারগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো—কীভাবে তারা সীমিত বাজেটে খাদ্য ব্যয় সামাল দেবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: