০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলাদেশ
হবিগঞ্জের সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশি মদ- মদের ওয়াস ১৫২ লিটার সহ গ্রেফতার-১

image

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে মধ্য রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত (বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ ৬ বীর আর্মি ক্যাম্প) এর মেজর কাজী ফয়সাল আহমেদ এর নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় ৩নং উত্তর- পূর্ব বানিয়াচং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দোয়াখানি গ্রামে অভিযান চালিয়ে দেশীয় মদ ব্যাবসায়ী কৃষ্ণ রবিদাস (৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সু-চতুর আরেক মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। দেশীয় মদ পান ও বিক্রয় করার ফলে ঐ এলাকার সর্ব সাধারণ পড়েছেন নানান আংতকে। কেউই সাহস করে মূখে কথা বলার মতো নয়। তবে, হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ জানে কে বা কারা মাদকের ডিলার, কারাদের সেন্ডিকেটের মধ্যে মাদক ব্যবসা চলতেছে।

বিভিন্ন হাট বাজারে কারা প্রাইকারি ও খোচরা মাদক বা সুদের ব্যবসা করতেছে। কিন্তু কই? এমনটা পুলিশের পক্ষ থেকে বা অভিযোগ পেলে অভিযান চলমান না রাখায় আমাদের দেশে এখন গাঁজার গাছ রোপন করে বিক্রয়, ইন্ডিয়া থেকে দিনের পর দিন চোরা কারবারিরা মাদক নিয়ে আসা যাওয়া করছে। মাঝে মধ্যে শুনা ও দেখা যায় বর্ডারগাড, বিজিপি, র‍্যাব, পুলিশ বা সেনাবাহিনীর অভিযানে বড় বড় ট্রাক ভর্তি মদ, গাঁজা, ইয়াবা, পেন্সিডিল, নাসির বিড়ি, বিদেশী শাড়ি সহ আরো অনেক কিছু আটক করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কি এসব অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে? বা হবে? এখানে এই প্রশ্ন থেকে যায়।


আর এই সকল অবৈধ জিনিস পত্র প্রশানের নাকের ডগার উপর দিয়েই আসা যাওয়া করতেছে। তাও ছোট খাটো কোন রাস্তা দিয়ে নায়। মহা সড়ক দিয়েই আসা যাওয়া করে। যে সকল রাস্তায় রয়েছে হাজারো চেক পোস্ট, শহর, জেলা, উপজেলা, থানা।কিন্তু কই? তাদের চোখে এসব তেমন পড়তে দেখা যায়নি। দেশের সচেতন লোকজন সহ মাঝে মধ্যে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরদের গোপন সংবাদ ভিত্তিতে পুলিশ অপরাধীদের কাছে তথ্য প্রদান কারী নাম ঠিকানা বলে দেয়। এতে তারা আইনের ফাঁক ফুকুড় দিয়ে বের হয়ে এসে ঐ সকল তথ্য দানকারীদের উপর নানান ধরনের মিথ্যা মামলা, হামলা সহ নানান নির্যাতন করে। দেশ ও জাতীর জন্য কাজ করতে গিয়ে সাগর- রুনির মতো কত শত গণ মাধ্যমেকর্মী নিহত হয়েছেন। এসবের কি এখন পর্যন্ত কোন বিচার হয়েছে। এর পর অপরাধীদের বিরোধে সত্যের কলম ও আইন চলছে চলবে।


পুলিশের এমন ঘটনা গত বছরগুলোতে নবীগঞ্জ থানা ও গোপলার বাজার থানা পুলিশ করেছে। যা ঐ সচেতন লোকজন সহ গণমাধ্যমকর্মীরা সত্য পথে থাকার কারণে ঐ সকল অপরাধীরা তাদের বসত বাড়িতে থাকলেও দূনীর্তিবাজ, ঘুষখোর, দেশ ও সমাজের দূষমন পুলিশ কেউ কারাগারে, কেউ পলাতক, কেউ ওসি থেকে এএসআই সহ শেখ হাসিনা পালানোর সময় দেশের ছাত্র- জনতার সাথে দলমত নির্বিশেষে যার যার অবস্থান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের বিন্দু মাত্র বিশ্বাস টুকু পুলিশের উপর থেকে চলে গেছে। আর যাদের আছে তাদের প্রয়োজনেই আছে। কিন্তু এখনও মামলা ও গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন আডামীদের সাথে সরাসরি দেখা না করে গোপনে বা মোবাইল ফোনে সরাসরি কল না দিয়ে ইমু ওয়ারসার্পে ঘুষ লেনদেন সহ প্রয়োজনীয় কাজ করে যাচ্ছেন। এটা আমার কথা নয়। এটাই বর্তমান দেশের পুলিশের চলমান অবস্থা। তাদের কারণেই সারাদেশে মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী বেড়ে গেছে। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে দেশের প্রতিটি এলাকার যুব সমাজ।

সেনাবাহিনীর অভিযান জব্দকৃত মালামাল হলো, দেশী ১২ লিটার মদ, দেশী মদের ওয়াস ১৪০ লিটার ও মোবাইল ৪টি মোবাইল ফোন। আটকৃত ব্যক্তিরা হলো, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার ৩নং বানিয়াচং ইউনিয়নের দোয়াখানি গ্রামের কৃষ্ণ রবিদান এর পুত্র সম্বু রবিদাশ (৪৫)। গ্রেফতারকৃত আসামীকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার ডিউটি আফিসার এস,আই শক্তি পদ এর নিকট হস্তান্তর কারা হয়।









রিলাক্স মিডিয়া/বুলবুল আহমেদ

ভিডিও
Comments:
Sponsered Ad
Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement

loading