গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশে হামলার জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন: দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল রানা (৩০) ও ইমন (২৪)। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন শহরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বুধবার দুপুরে এ আদেশ কার্যকর হয়।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌরপার্কে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ চলাকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে মঞ্চে হামলা চালায়। হামলায় সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয় এবং এনসিপি নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়।
এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। হামলার মুখে এনসিপি নেতারা আশ্রয় নেন গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
রাষ্ট্র সংস্কার ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এনসিপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা সহিংসতায় রূপ নেওয়ায় গোটা গোপালগঞ্জজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের কারফিউ ও ১৪৪ ধারা কার্যকর করেও এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। নিহতদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে এনসিপি।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: