সন্ত্রাস দমনে সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী আটক। শুক্রবার(১৫ আগস্ট) সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ির ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দুকছড়ি জোনের ক্যাপ্টেন মোঃ শাইয়েন কাদির এর নেতৃত্বে একটি সেনা দল খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে । অভিযানে একজন স্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেনকে ২টি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক করা হয়।
আটককৃত ইসমাইল হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি সদর শান্তিনগর এলাকায় মগ লিবারেশন পার্টির চেয়ারম্যান শীর্ষ সন্ত্রাসী কংচাই মারমাকে আটক করতে আরো একটি অভিযান পরিচালিত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাই মারমা একটি তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে, পরবর্তীতে সেনাবাহিনী আত্নরক্ষার জন্য গুলি বিনিমিয় করে।
পালানোর কোনো পথ না পেয়ে এক পর্যায়ে সে ছাদ থেকে লাফ দেয় এবং দ্রুত তাকে সেনাবাহিনী আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত কংচাই মারমা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় দ্রুত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হয় আতংকে,ভয়ে ছাদ থেকে লাফ দেওয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই জানা যাবে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় থানা পুলিশ কর্তৃক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান আছে৷ ঘটনাস্থল থেকে ১টি ৯ মি: মি: পিস্তল ৫ রাউন্ড তাজা বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্তমানে মরদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, কংচাই মারমা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। উক্ত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।এই অপারেশন শেষে আসামি ইসমাইলকে পুনরায় আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সে কংচাই এর একটি গোপন অস্ত্র রাখার স্থানের সন্ধান দেয় পরবর্তীতে সন্ধানকৃত স্থানে গিয়ে আরো ০৫ টি এল জি (পিস্তল), ২১ রাউন্ড এলজি কার্তুজও ১৩ রাউন্ড পিস্তলের তাজা বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি-বিদেশি তৈরি পিস্তল ( ভারত)একটি, পিস্তল ম্যাগাজিন একটি,পিস্তল এ্যামুনেশন আঠারোটি,দেশিও তৈরি শট ব্যারেল এলজি একটি,দেশিও তৈরি লং ব্যারেল এলজি চারটি,দেশিও তৈরি গাদা বন্দুক দুটি,কার্তুজ ছাব্বিশটি,রামদা দুটি,অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দুটি,বাটন মোবাইল চারটি,চাঁদা আদায় রশিদ বই দশটি,ওয়াকি টকি সেট চার্জার সহ একটি, দেশীয় বোমা দশটি,২০০০০ ( বিশ হাজার ) বাংলাদেশি দেশি টাকা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সন্ত্রাস দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রিলাক্স মিডিয়া/মোঃ সালাউদ্দিন
Comments: