পূর্ব লন্ডনের একটি প্রপার্টিতে অতিরিক্ত ভাড়াটে রাখার দায়ে এক বাড়িওয়ালাকে ৩৩ হাজার পাউন্ডেরও বেশি জরিমানা করেছে হ্যাভারিং কাউন্সিল। শর্ত ভঙ্গ ও লাইসেন্স ছাড়া HMO পরিচালনার অভিযোগে স্নারেসব্রুক ক্রাউন কোর্ট এই রায় দিয়েছে।
পূর্ব লন্ডনের ফিটজিলিয়ান অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়িতে ১৮ জন ভাড়াটে রাখার দায়ে মালিক শামসুল হুদাকে ৩৩,৬৮৯.৭৯ পাউন্ড জরিমানা করেছে হ্যাভারিং কাউন্সিল। এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ ১০ জন বাসিন্দা রাখার সীমা ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিশ্চিতে দুটি নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করা হয়েছিল।
তবে পরিদর্শনে দেখা যায়, ওই বাড়িতে ১০টি পরিবারসহ মোট ১৮ জন বাস করছিলেন। এছাড়া, সম্পত্তিটি ১১টি শয়নকক্ষে রূপান্তর করা হয়েছিল এবং আরও কক্ষ বিভাজনের কাজ চলছিল।
লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও এটি লাইসেন্সবিহীন HMO হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল। ফলে হ্যাভারিং কাউন্সিল আদেশ লঙ্ঘন ও লাইসেন্স ছাড়া HMO পরিচালনার অভিযোগে হুদার বিরুদ্ধে মামলা করে।
স্নারেসব্রুক ক্রাউন কোর্ট হুদাকে ৩৩ হাজার পাউন্ড জরিমানা অথবা দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে HMO হিসেবে লাইসেন্স না দেওয়ার দায় স্বীকার করায় তাকে তিনটি পৃথক অপরাধে মোট ৫,০০০ পাউন্ড জরিমানা, ৫০০ পাউন্ড ভিকটিম সারচার্জ এবং ১৪,২৯৪.২১ পাউন্ড আইনি খরচ দিতে হয়।
হ্যাভারিং কাউন্সিল জানিয়েছে, শামসুল হুদার হাউজিং আইন লঙ্ঘনের ইতিহাস রয়েছে। কাউন্সিল নেতা রে মরগন বলেন, “আমরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বাড়িওয়ালাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব এবং লাইসেন্সবিহীন বা লাইসেন্স লঙ্ঘন করা মালিকদের সহ্য করব না।”
এই ঘটনা প্রমাণ করে, লন্ডনে আবাসন আইন ভঙ্গ করলে কঠোর আর্থিক জরিমানা ও শাস্তির মুখে পড়তে হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন অপরাধ রোধে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: