সিলেট নগরীতে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। এ লক্ষ্যে এক সমন্বয় সভায় ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন ও অবৈধ পরিবহন নিয়ন্ত্রণে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম। পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সভায় নগরীর ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ কমিশনার বলেন, ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবৈধ অটোরিকশা, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি, ডুপ্লিকেট লাইসেন্সধারী গাড়ি ও অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যে কোনো অবৈধ যানবাহনকে নগরীতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। যত্রতত্র পার্কিং করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা সভায় তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং পুলিশ কমিশনার তা সমাধানের আশ্বাস দেন। ভাড়া সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, শহরে আগত যাত্রীদের নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি পাম্প বন্ধ থাকবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত নগরীতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলবে, সময়সীমা অতিক্রম করলে শহরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অবৈধ সিএনজি চালকরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আমেরিকার আদলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে—পরপর তিনবার জরিমানা হলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, “এসব পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো নগরবাসীকে নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়া। সিলেটকে একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
অনলাইন ডেস্ক
Comments: