কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসতেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বিশালাকৃতির গরুর আলোচনা। এর মধ্যে ঢাকার ধামরাইয়ে খামারি নাঈম হোসেনের খামারে থাকা ‘সান্ডা’ নামের বিশাল ষাঁড়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। ১৫ লাখ টাকা দামের এই ষাঁড়ের সঙ্গে বিনামূল্যে মিলছে ‘পান্ডা’ নামের এক খাসি!
ফ্রিজিয়ান জাতের ‘সান্ডা’ নামের ষাঁড়টির উচ্চতা ৬.৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ১০ ফুট এবং ওজন প্রায় ৩১ মণ। ঈদুল আযহা সামনে রেখে এই গরুটিকে বিক্রির জন্য দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। যদিও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব পেয়েছেন খামারি। এর সঙ্গে অফার হিসেবে থাকছে তিন বছর ধরে লালনপালন করা মাঝারি আকৃতির একটি খাসি ‘পান্ডা’।
খামারি নাঈম হোসেন জানিয়েছেন, তিন বছর আগে নিজের খামারে পালিত একটি বাছুরকে লক্ষ্য করে কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয় ‘সান্ডা’-কে। শুরু থেকেই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ, আদর্শ খাদ্য তালিকা, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুটিকে লালন করা হয়েছে।
প্রতিদিন খাওয়ানো হচ্ছে খৈল, ছোলা, ভুসি, কুমড়া, তাজা ঘাস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার। দিনে তিন-চারবার গোসল করানো হয় এবং মশার উপদ্রব ঠেকাতে নিয়মিত স্প্রে করা হয়। ফ্যানের বাতাসে রাখা হয় যাতে অতিরিক্ত গরমে গরুটি অসুস্থ না হয়।
প্রতিদিন ‘সান্ডা’ ও ‘পান্ডা’র পরিচর্যা ও খাবারের পেছনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০০–৭০০ টাকা। বিশাল আকৃতির কারণে গরুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে এত উচ্চ মূল্যে স্থানীয়ভাবে বড় ক্রেতার অভাব রয়েছে বলে জানান খামারি।
সর্বশেষ একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ৯ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু নাঈমের আশা—রাজধানীতে নিয়ে গেলে কাঙ্ক্ষিত ১৫ লাখ টাকা দাম মিলবে। সাথে 'পান্ডা' খাসি ফ্রি থাকায় অনেকেই বিষয়টিকে রোমাঞ্চকর অফার হিসেবেই দেখছেন।
বাংলাদেশের কোরবানির পশুর বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন চমক আসছে। ধামরাইয়ের ‘সান্ডা’ ষাঁড় এবং ফ্রি ‘পান্ডা’ খাসি সেই চমকেরই একটি বাস্তব উদাহরণ। এখন দেখার বিষয়—এই বিশাল ষাঁড় কাকে নতুন মালিক হিসেবে পায় এবং কত টাকায় বিক্রি হয়।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: