দলীয় নীতি ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদে বড় পরিবর্তন এসেছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও পাথর লুটের অভিযোগে পদ হারালেন উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা; নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়োগ দিল কেন্দ্রীয় কমিটি।
চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় নীতি-আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। তার স্থলে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে প্রকাশ্যে পাথর লুট চলছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার পরও পট পরিবর্তনের সুযোগে শাহ ভোলাগঞ্জের আরেফিন টিলা ও রোপওয়ে বাংকার থেকে পাথর তুলে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ‘সাদাপাথর’ ও আশপাশের বসতবাড়ি থেকেও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত দুই সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নতুন বালু-পাথরের স্তর নেমে এলেও পাথর দেখা যায়নি—কারণ ঢলের আগেই সেগুলো লুট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা সাহাব উদ্দিনের নাম স্থানীয়ভাবে আলোচনায় এসেছে।
দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে এই পরিবর্তন স্থানীয় রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: