পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমধর্মী এক ড্রোন শো, যেখানে উঠে আসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণীয় মুহূর্ত। চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ আয়োজনে ড্রোন শোতে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর দৃশ্য ভেসে ওঠে আকাশে, উপচে পড়ে জনসমাগম।
পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শোতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। এই ড্রোন শো ছিল বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো এমন বড় পরিসরের প্রযুক্তিনির্ভর আয়োজন, যেখানে ফুটে উঠে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
ড্রোনের মাধ্যমে আকাশে ভেসে ওঠে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকী দৃশ্য, যেখানে শহীদ আবু সাঈদকে দেখা যায় বাহু প্রশস্ত করে দাঁড়ানো অবস্থায়। এছাড়া জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর পানি বিতরণের সেই আইকনিক দৃশ্যও ছিল ড্রোন শো’র অংশ।
এই আয়োজনটি যৌথভাবে করে বাংলাদেশ সরকার ও ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। আয়োজনের আগের রাতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ ভবন এলাকায় পরীক্ষামূলক ড্রোন শো হয়, যার বেশ কিছু ছবি নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাব, পুলিশ, ও সাদা পোশাকে উপস্থিত ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা, পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় সিসিটিভি ক্যামেরা ও নজরদারি ড্রোন।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক জানান, “আমরা দু’দিন আগেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা কার্যকর করেছি। ফুট পেট্রল, রোবাস্ট পেট্রল ও প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারির মাধ্যমে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।”
পহেলা বৈশাখের এই অভিনব আয়োজন শুধু বিনোদনই নয়, ইতিহাস, প্রযুক্তি ও জাতীয় গৌরবের এক অপূর্ব সম্মিলন। রাজধানীবাসীকে এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছে এ আয়োজন।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: