অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময় ও শ্যুটআউটে স্পেনকে হারিয়ে আবারও ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড নারী দল। ক্লো কেলি হলেন জয়ের মূল নায়িকা। ইউরো ফাইনালের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডের লায়নেসেসরা আবারও প্রমাণ করলেন, তারা শুধুই আন্ডারডগ নয়—তারা চ্যাম্পিয়নের দাবিদার। দলের প্রত্যেকে লড়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
ইউরোপের নারী ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ইউরোতে ফের চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দল। ক্লো কেলির জাদুকরী পারফরম্যান্স এবং হান্না হ্যাম্পটনের দুর্দান্ত গোলকিপিং দলকে শিরোপা এনে দিয়েছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড কিছুটা সমস্যায় থাকলেও রক্ষণ ও মধ্যমাঠে দৃঢ়তা ধরে রাখে। স্পেন এগিয়ে গেলেও ইংল্যান্ড সমতা ফেরায় ক্লো কেলির সেটআপে রুসোর গোলে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে চেলসির গোলরক্ষক হ্যাম্পটন দুটি দুর্দান্ত সেভ করেন, আর ক্লো কেলি করেন ম্যাচ নির্ধারণী গোল।
বেথ মিডের পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কেলির শেষ মুহূর্তের গোলেই নিশ্চিত হয় জয়ের আনন্দ। কোচ সারিনা উইগম্যানের কৌশলী পরিচালনায় পুরো দল ছিল গতিশীল ও আত্মবিশ্বাসী।
ম্যাচের এক পর্যায়ে চোটে মাঠ ছাড়েন লরেন জেমস, যার অভাব পড়তে পারত। কিন্তু বেঞ্চ থেকে উঠে আসা কেলি আবারও নায়ক হয়ে ওঠেন। মিডফিল্ডে কেইরা ওয়ালশ ও জর্জিয়া স্ট্যানওয়ে বারবার বল ছিনিয়ে আক্রমণ গড়েন।
দলের আক্রমণভাগ ও রক্ষণ ভাগের মধ্যে সমন্বয়ই এনে দেয় এই জয়। স্পেন বেশিরভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও ইংল্যান্ডের জবাব ছিল নিখুঁত কাউন্টার অ্যাটাকে।
ইংল্যান্ড নারী দল আবারও দেখিয়েছে তাদের মানসিক দৃঢ়তা, কৌশলগত দক্ষতা এবং বিশ্বমানের প্রতিভা। ক্লো কেলির মতো খেলোয়াড়েরা প্রমাণ করে দিয়েছেন—যে কোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। ইউরো জয়ের মাধ্যমে তারা কেবল শিরোপাই নয়, আবারও ফুটবল বিশ্বে নিজেদের অবস্থান শক্ত করল।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: