০১ নভেম্বর ২০২৫ | ১৭ কার্তিক ১৪৩২
ব্রিটেন
ইইউর ৫০% শুল্কের হুমকি: ব্রিটেনের ইস্পাত শিল্পে বড় সংকট, স্টারমারের ইউরোপ নীতি চাপে

image

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের ইস্পাত শিল্পে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের ব্রাসেলসের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনাকে বিপদের মুখে ফেলেছে। চীনসহ এশীয় দেশ থেকে সস্তা ইস্পাত আমদানির অজুহাতে ইইউর নতুন পদক্ষেপ, ক্ষতির মুখে ব্রিটিশ রপ্তানি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ব্রিটেনের ইস্পাত শিল্পের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ব্রাসেলসের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা বড় ধাক্কা খেতে পারে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করে, চীন ও অন্যান্য এশীয় দেশ থেকে সস্তা ইস্পাতের বন্যা ঠেকাতে তারা আমদানি সীমিত করতে বাধ্য হচ্ছে। ইইউ জানিয়েছে, “আমাদের বাজার রক্ষার জন্য এর বিকল্প নেই।” এই পদক্ষেপের ফলে ব্রিটিশ ইস্পাত রপ্তানিকারকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন, কারণ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ইস্পাত রপ্তানি যায় ইইউতে। ব্রিটিশ ইস্পাত প্রস্তুতকারকদের সংগঠন ইউকে স্টিল সতর্ক করে বলেছে, এটি হতে পারে “শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংকট।”

ইইউর প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে বছরে মাত্র ১৮.৩ মিলিয়ন টন ইস্পাত করমুক্তভাবে আমদানি করা যাবে, যা গত বছরের ২৮ মিলিয়ন টন থেকে অনেক কম। ইউকে স্টিলের পরিচালক পিটার ব্রেনান বলেন, “যদি ইইউর সঙ্গে আমাদের নতুন কোটা চুক্তি না হয়, তবে এটি শিল্পের জন্য অস্তিত্বের সংকট তৈরি করবে।” ইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি দেশকে পৃথকভাবে আলোচনা করে অনুকূল শুল্ক-মুক্ত কোটা নিশ্চিত করতে হবে। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ব্রিটেনকে যুব গতিশীলতা প্রকল্পে আরও ইউরোপীয় নাগরিকের প্রবেশাধিকার দেওয়ার বিনিময়ে ছাড় দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সরকার এই সিদ্ধান্তের পরপরই “জরুরি ব্যাখ্যা” চাইছে এবং কার্ভ-আউট আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, ব্রাসেলসের এই সিদ্ধান্ত মে মাসে স্বাক্ষরিত ইস্পাত কোটা চুক্তিকে কার্যত বাতিল করে দেবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইইউর নতুন পদক্ষেপ শুধু ব্রিটেনের ইস্পাত রপ্তানিকেই নয়, বরং স্টারমারের অর্থনৈতিক কূটনীতিকেও বড় চাপে ফেলবে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এখন যুক্তরাজ্যকে দ্রুত বিকল্প বাজার ও সমঝোতার পথ খুঁজতে হবে।












অনলাইন ডেস্ক

ভিডিও
Comments:
Sponsered Ad
Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement

loading