সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র উৎমাছড়া থেকে টাস্কফোর্স ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় দুই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধ পাথর লুটের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে সীমান্তবর্তী এ এলাকা। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারি ও পর্যটনকেন্দ্রে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ বেড়েছে। বিশেষ করে উৎমাছড়া, সাদাপাথর, জাফলং ও বিছনাকান্দি এলাকায় টানা এক বছর দেদারসে পাথর লুট চললেও প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের উৎমাছড়া-সংলগ্ন আদর্শগ্রামে অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট ব্যাটালিয়ন-৪৮ এর সদস্যরা। নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক। অভিযানে রাস্তা ও বাড়িঘরে মজুত রাখা প্রায় দুই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফ্রাহিম ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। উদ্ধার করা পাথর স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়েছে।
গোয়াইনঘাটের জুমপার এলাকা থেকে প্রায় ২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে জাফলং এলাকায়। জৈন্তাপুরের শ্রীপুরে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর ও ২৮ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে বালু নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকায়। সিলেটে চলমান অভিযানে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে মোট ৮টি পাথর কোয়ারি রয়েছে, তবে পরিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর থেকে আর কোনো কোয়ারি ইজারা দেওয়া হয়নি। তবুও অবৈধভাবে পাথর লুট চলছিল।
উৎমাছড়া থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধারের মাধ্যমে আবারও প্রকাশ পেয়েছে সিলেটের কোয়ারিগুলোতে অবৈধ লুটপাটের ভয়াবহতা। পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোর স্বাভাবিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: