আন্দোলনের সময় ছাত্রদের নগ্ন ভিডিও করে জিম্মি করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এ দাবি করেছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তৌহিদ আফ্রিদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তিনি আন্দোলনে উসকানি ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (২৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন অভিযোগ করেন, আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি আন্দোলনের সময় ছাত্রদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। শুনানি শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক সারাহ ফারজানা হক। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, তৌহিদ আফ্রিদি আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উসকে দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালান এবং ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের ভিডিও করে জিম্মি করে রাখতেন।
অপরদিকে, আফ্রিদির আইনজীবী খায়রুল ইসলাম জামিনের আবেদন করে বলেন, তার মক্কেল অসুস্থ, লিভার ও ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তার রিমান্ড দেওয়া যায় না। তিনি আরও জানান, মামলার বাদী গত বছর হলফনামা দিয়ে বলেছিলেন, তৌহিদ আফ্রিদির নাম ভুলক্রমে যুক্ত হয়েছে। তাই তার খালাসে বাদীর কোনো আপত্তি নেই। এদিন সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিন মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার রাতে সিআইডি বরিশাল থেকে আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় গত ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে তার বাবা, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। মামলার এজহার অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মো. আসাদুল হক বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তার বাবা জয়নাল আবেদীন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর আসামি।
তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কে মামলাটি নতুন মোড় নিয়েছে। আগামীতে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: