বিশ্বব্যাপী অপরাধ জরিপে উঠে এসেছে লন্ডনের ক্রমবর্ধমান অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র। সহিংসতা, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধে লন্ডন ইউরোপের অন্যতম বিপজ্জনক শহরের তালিকায় উঠে এসেছে।
নুম্বিও ক্রাইম ইনডেক্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বের ৩৮৫টি শহরের মধ্যে লন্ডনের অবস্থান ১০০তম। ইউরোপের মধ্যে এটি ১৫তম সর্বাধিক বিপজ্জনক শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সহিংসতা, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধের কারণে রাজধানী লন্ডন এখন অ্যাথেন্স, ব্রাসেলস, মিলান এবং বার্সেলোনার চেয়েও কম নিরাপদ।
লন্ডন এমনকি নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, কায়রো, বালি ও বেঙ্গালুরুর মতো শহরের তুলনায়ও খারাপ অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাজ্যের শহরগুলোর মধ্যে লন্ডনের অবস্থান পঞ্চম—ব্র্যাডফোর্ড, কভেন্ট্রি, বার্মিংহাম এবং ম্যানচেস্টারের পরে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৫টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৪টিতে লন্ডনের পারফরম্যান্স অত্যন্ত দুর্বল। সম্প্রতি লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড এলাকায় টিভি উপস্থাপিকা সেলিনা স্কট ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর পুলিশ কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি ক্ষমা চান।
সেলিনা জানান, পার্স ছিনতাইয়ের ঘটনার পর কাছাকাছি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা পাওয়া যায়নি, এমনকি পূর্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া পুলিশ স্টেশনের কারণে সহায়তা পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পূর্ব স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড গোয়েন্দা পিটার ব্লেকসলি বলেন, “লন্ডনে অপরাধ এখন মহামারীর মতো” এবং এটি মানুষকে এই শহর থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ইতালি ও পূর্ব ইউরোপের বহু অপরাধপ্রবণ শহরের তুলনায় লন্ডনে নিরাপত্তা কম।
ছায়া স্বরাষ্ট্র সচিব ক্রিস ফিলপ বলেন, “সাদিক খানের অধীনে অপরাধীরা দায়মুক্তির সুযোগ পাচ্ছে। অপর্যাপ্ত পুলিশ তহবিলের কারণে মেট ১,৭০০ পুলিশ সদস্য হারাতে চলেছে।”
যদিও মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমনে সক্রিয় থাকার দাবি করছে এবং সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে কিছু অপরাধ হ্রাসের তথ্য তুলে ধরেছে, তবে লন্ডনে নিরাপত্তা নিয়ে জনগণের উদ্বেগ বাড়ছে। অপর্যাপ্ত পুলিশিং, তহবিল সংকট ও অপরাধের বাড়বাড়ন্তকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ভূমিকা আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: