২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২
ব্রিটেন
লন্ডনের কাউন্সিল হাউসের অর্ধেকই বিদেশে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের দখলে

image

লন্ডনের সামাজিক আবাসনের প্রায় অর্ধেক এখন বিদেশে জন্মগ্রহণকারী পরিবারপ্রধানদের দখলে। টেলিগ্রাফের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এই পরিবারগুলোর জন্য বছরে প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন পাউন্ড ভর্তুকি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। প্রতি বছর ৩.৬ বিলিয়ন পাউন্ড ভর্তুকি পাচ্ছেন বিদেশী বংশোদ্ভূত পরিবারপ্রধানেরা, উদ্বেগে অভিবাসন নীতি বিশ্লেষকরা

২০২১ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী, লন্ডনের প্রায় ৪৮ শতাংশ সামাজিক আবাসন এখন বিদেশে জন্মগ্রহণকারী পরিবারপ্রধানদের দখলে, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। এই পরিবারগুলো গড় হিসেবে প্রতি বছর ১১,৬০০ পাউন্ড ভর্তুকি সুবিধা পান, যেটি প্রাইভেট রেন্টাল বাজারের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। টেলিগ্রাফের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, শুধুমাত্র এই ভর্তুকির পরিমাণেই প্রতিবছর ব্যয় হয় প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন পাউন্ড।

ছায়া বিচার সচিব রবার্ট জেনরিক এই বিশ্লেষণকে “অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর” বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেন, “স্বল্প দক্ষ অভিবাসনের খরচ জনসাধারণের দৃষ্টির বাইরে রাখা হয়।” লন্ডনের সামাজিক আবাসনে থাকা বিদেশী বংশোদ্ভূত পরিবারপ্রধানদের ৩৫ শতাংশই বেকার অথবা অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়। শহরের ৩২টি বরোর মধ্যে ১৪টি বরোতে বেশিরভাগ কাউন্সিল হাউস বিদেশী বংশোদ্ভূতদের দখলে, বিশেষ করে ব্রেন্ট ও ওয়েস্টমিনস্টার অঞ্চলে এটি ৬০ শতাংশেরও বেশি। ইংলিশ হাউজিং সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ৪৮% কৃষ্ণাঙ্গ ক্যারিবীয়, ৪০% কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান এবং বাংলাদেশি পরিবার সামাজিক আবাসনে বাস করে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ পরিবারের অনুপাত মাত্র ১৬%।

এই পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণগুলো ব্রিটেনের বর্তমান অভিবাসন ও আবাসন নীতিকে নতুন করে ভাবনার সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষ করে, স্বল্প আয়ের বিদেশী পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ সামাজিক আবাসনের আর্থিক প্রভাব ও নৈতিক বিতর্ক আরও তীব্র হচ্ছে।






অনলাইন ডেস্ক

ভিডিও
Comments:
Sponsered Ad
Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement

loading