যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের রেকর্ড বিনিয়োগ ঘোষণা। ট্রাম্পের চাপ, শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদন বাড়াচ্ছে টেক জায়ান্টটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে এবার যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। শুল্কের বোঝা কমাতে নতুন করে দেশটিতে ১০ হাজার কোটি ডলার বা ১শ’ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও অ্যাপল প্রধান টিম কুকের এক যৌথ বৈঠকে এই ঘোষণা আসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিনিয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনসহ অ্যাপলের পণ্যের উৎপাদন বেড়ে যাবে এবং চিপ ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে আরোপিত ১০০% শুল্ক এড়ানো যাবে।
এ ঘোষণার ফলে অ্যাপলের মোট বিনিয়োগ দাঁড়ালো ৬শ’ বিলিয়ন ডলারে, যা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অ্যাপলের নতুন বিনিয়োগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাতেও ব্যয় করা হবে। একইসঙ্গে ধীরে ধীরে কমানো হবে চীন ও ভারতে উৎপাদনের পরিমাণ। এরই মধ্যে কিছু কারখানা ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং ভারতে স্থানান্তর করা হলেও এবার মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বৃদ্ধি।
ট্রাম্প বলেন, “অ্যাপল ঘরে ফিরছে, এটা গর্বের বিষয়। আমরা চাই মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো দেশেই বিনিয়োগ করুক।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপে আইফোনের দাম কিছুটা কমতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অ্যান ই. হ্যারিসন জানান, “প্রযুক্তির কারণে মার্কিন শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিনিয়োগ সে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কের চাপ মোকাবিলা ও স্থানীয় উৎপাদন জোরদারের লক্ষ্যে অ্যাপলের এই নতুন বিনিয়োগ বিশ্ববাণিজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। এতে শুধু শুল্ক সুবিধাই নয়, আইফোনের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল এই সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: যমুনা টিভি
Comments: