২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩২
প্রযুক্তি
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা

image

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ইন্টারনেট আজ বুধবার বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-এ স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা সেবা যাচাইয়ের সুযোগ পান।

আজ বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–এ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা। স্যাটেলাইট-ভিত্তিক এই ইন্টারনেট সেবাটি পরিচালনা করছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান Starlink, যা বিশ্বব্যাপী দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

সামিটে উপস্থিত দর্শনার্থীরা বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (BSCL) এর স্টলে থাকা একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে বিনামূল্যে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। এক দর্শনার্থী জানান, সর্বোচ্চ গতি পাওয়া গেছে ২২০ এমবিপিএস এবং সর্বনিম্ন ১৭০ এমবিপিএস।

স্টারলিংকের এই সংযোগ মালয়েশিয়ান আইআইডি থেকে যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পুরো সামিট প্রাঙ্গণে স্টারলিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা গেছে। প্রযুক্তি পেশাজীবী জারিফ ফাইয়াজ বলেন, “স্টলে স্টারলিংকের রিসিভার ও যন্ত্রাংশ দেখে অভিভূত হয়েছি। তবে কবে নাগাদ বাসায় বা অফিসে এই সেবা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানানো হয়নি।” গত ২৯ মার্চ স্টারলিংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA) থেকে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন পায়। স্টারলিংককে কার্যক্রম শুরু করতে ৯০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটানে স্টারলিংকের রেসিডেনশিয়াল ইন্টারনেট সেবার জন্য প্রতি মাসে খরচ হয় ৫ হাজার ৮০০ টাকা সমমূল্যের ভুটানিজ গুলট্রাম।

বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক ইন্টারনেট সেবা শুরু হওয়া ডিজিটাল অবকাঠামোতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি কবে নাগাদ চালু হবে এবং খরচ কেমন হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল এখনো রয়ে গেছে।





অনলাইন ডেস্ক

ভিডিও
Comments:
Sponsered Ad
Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement

loading