যৌতুক চাওয়ার কুরুচিকর সংস্কৃতি নতুন মাত্রা পেল ভারতের বিহারে। এক তরুণীর কাছ থেকে তার স্বামীর জন্য কিডনি চেয়ে বেয়াড়া দাবিতে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দীপ্তি নামের তরুণীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিডনি দিতে বাধ্য করতে চেয়েছিল; রাজি না হওয়ায় নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়
ভারতের বিহার রাজ্যে দীপ্তি নামের এক তরুণীর বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় যৌতুকের দাবির চাপ। তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে স্বামীর জন্য মোটরসাইকেল কেনার দাবি জানানো হয়। সবশেষ চমকে দেওয়া দাবি আসে, যখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন দীপ্তিকে তার স্বামীর জন্য একটি কিডনি দিতে বলে। দীপ্তি রাজি না হলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দীপ্তির স্বামীর একটি কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছিল না। ২০২১ সালে তাদের বিয়ে হয়। এর দুই বছর পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
দীপ্তি বিবাহবিচ্ছেদ চাইলে স্বামী তাতে রাজি হননি। দীপ্তি থানায় শ্বশুর-শাশুড়িসহ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে উভয়পক্ষকে ডেকে আলোচনার চেষ্টা করা হলেও কোনো সমাধান হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সমাজকর্মী ও নারী অধিকার সংগঠনগুলো এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই ঘটনা আবারো প্রমাণ করলো, সমাজে যৌতুক নামের বিষ আজও কতটা গভীরে বিস্তার লাভ করেছে। শুধু সম্পত্তি বা টাকা নয়, এবার কিডনি চাওয়ার মতো ভয়াবহতার মুখোমুখি হতে হয়েছে একজন নারীকে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতসহ উপমহাদেশে যৌতুকবিরোধী প্রচার ও কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জোরালো হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: