গণঅভ্যুত্থানের পর নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি থাকলেও এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাজারে দেখা দিয়েছে নতুন অস্থিরতা।
টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে ৩৩ পণ্যের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে, যা গড়পড়তা আয়ের মানুষের জীবনে বাড়িয়েছে চাপ।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ছিল স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এক বছরের মাথায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চাল, আটা, তেল, ডাল, মাছ, মাংসসহ বহু প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মঙ্গলবারের (১২ আগস্ট) বাজারদর অনুযায়ী, গত এক বছরে ৩৩ পণ্যের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে, ১৫টির কমেছে এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চাল, আটা, ময়দা, সয়াবিন ও পাম তেল, মসুর ডাল, রুই মাছ, গরু ও খাসির মাংস, মুরগি, গুঁড়ো দুধের দাম। এছাড়া খেজুর, হলুদ, এলাচ, তেজপাতা এবং লেখার কাগজের দামও বেড়েছে।
টিসিবির তালিকা অনুযায়ী, মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ৫–৭ টাকা, আটা ২–৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১৭ টাকা, মসুর ডাল ২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ৫ টাকা, রুই মাছ ৫০ টাকা, গরুর মাংস ২০ টাকা পর্যন্ত।
অন্যদিকে চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনা মরিচ, মুগ ডাল, অ্যাংকর ডাল, ছোলা, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনিয়া এবং এমএস রডের দাম কমেছে। লবণের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আলু ও পেঁপে ছাড়া প্রায় সব সবজির দাম গত এক বছরে ১৪–৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ফলের দামও বেড়েছে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত।
বাজার বিশ্লেষক ও ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন মনে করছেন, সরকারের পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট অতি মুনাফা করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং জোরদার করা, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত আমদানি নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: